Header Ads Widget

Responsive Advertisement

SEO Friendly Image Optimization


How to optimize an image

এই লেসনে Image Optimize করা,ফিচার ইমেজ, ইউনিক ইমেজ, কপিরাইট ফ্রি ইমেজ কি, গুগল থেকে কিভাবে কপিরাইট ইমেজ তৈরি করা যায়,ইমেজ কপিরাইট কিভাবে চেক করে সেসব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। 

SEO Friendly Image Optimization  করার ১০টি টার্মস

১. সঠিক নামকরণ 

২. অল্টার টেক্সট লেখা।

৩. ইমেজ ডাইমেনশন এন্ড এংগেল।

৪. ফাইল সাইজ। 

৫. ফাইল টাইপ নির্বাচন। 

৬. থাম্বনেইল ইমেজ।

৭. ইমেজ সাইটম্যাপ। 

৮. ডেকোরেটিভ ইমেজ।

৯. ইমেজ টেস্ট। 

১০. সুন্দর ইমেজ।


ইমেজ অপ্টিমাইজ করার ১০টি টার্মস

ইমেজের সঠিক নামকরণ 

আমরা সাধারণত যখন মোবাইল বা ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলি তখন বাই ডিফল্ট  ছবিটির একটি নাম থাকে। যেমনঃ IMG_20220710_131546 এটা আমার মোবাইল দিয়ে তোলা একটি কাটিমন আমের ইমেজ নাম। আপনি আপনার মোবাইল দিয়ে ছবি তুললে হয়তো অন্য ভাবে নাম আসতে পারে।আমি IMG_20220710_131546 এই নামের ইমেজটিকে অপটিমাইজ না করে কাটিমন আমের আর্টিকেলের সাথে আপলোড করলাম।এখন কেউ যদি কাটিমন আম লিখে গুগলে সার্চ করে তাহলে কি আমার এই ইমেজ গুগলে র‍্যাংকে আসবে? উত্তর হচ্ছে আসবেনা। কারণ কেউ IMG_20220710_131546 লিখে সার্চ করবেনা। আমার এই ইমেজটিকে গুগল র‍্যাংকে আনতে হলে ইমেজটিকে Rename করে IMG_20220710_131546 এর পরিবর্তে "কাটিমন_আম" লিখতে হবে।পাশাপাশি ইমেজের Properties এ গিয়ে Title এ "কাটিমন_আম" লিখতে হবে। এবার যদি কেউ "কাটিমন আম" লিখে গুগলে সার্চ করে তাহলে আমার এই ইমেজ গুগল র‍্যাংকে আসার সম্ভাবনা আছে।

 অল্টার টেক্সট লেখা।

অল্টার টেক্সট হচ্ছে  নেট স্লো বা ব্রাউজার কোন কারনে যদি ইমেজ লোড করতে না পারে তাহলে ইমেজ রিপ্লেসম্যান্ট হিসেবে একটি টেক্সট প্রদর্শন করে। SEO এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ এটি।গুগলের রোবট মূলত Alt text এ যে লেখা আছে সেটা পড়ে এবং লেখা অনুযায়ী  র‍্যাংকিং এ নিয়ে আসে। মনে করুন আপনি ইমেইজের Alt text অপশনে newborn baby's clothes লিখলেন। ভিজিটর আপনার সাইটে আসলো।এখন স্লো নেটওয়ার্ক বা ব্রাউজার সেটিংস বা অন্য কোন কারনে যদি ইমেইজ লোড না হয় তাহলে ইমেইজের স্থানে newborn baby's clothes লেখা শো করবে। যার উদ্দেশ্য হচ্ছে ইমেজ লোড না হলেও পাঠক যেন বুঝতে পারে এখানে একটি newborn baby's clothes এর ইমেজ আছে। Alt text এ Stop Word লেখা যাবেনা।

 ইমেজ ডাইমেনশন এন্ড এংগেল ইমেজ।

আপনার যদি ই-কমার্স সাইট থাকে তাহলে আপনাকে আপনার পণ্যের বিভিন্ন এংগেলের ইমেজ আপলোড করতে হয়। কারণ কাস্টোমার একটি পণ্যের বিভিন্ন এংগেলে ইমেজ দেখতে পছন্দ করে। এক্ষেত্রে একটি পণ্যের ৩-৪ টির বেশি ইমেজ আপলোড দিবেন না। অতিরিক্ত ইমেজ থাকলে ইমেজ লোড নিতে সময় নেয়।

ইমেজের পিক্সেল ৭২৫ এর মধ্যে রাখবেন কেননা এর চেয়ে বড় ডাইমেনশনের ইমেজ পেইজের লোড স্পিড টাইম বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে ভিজিটর বিরক্ত হয়ে সাইট থেকে বের হয়ে যায়।

ইমেজের ফাইল সাইজ। 

যেসব কারণে সাইটের স্পিড বেড়ে যায় তারমধ্যে ইমেজ ফাইল সাইজ বেশি এর অন্যতম একটি কারণ। ইমেইজের ফাইল সাইজ 200 kb এর মধ্যে রাখবেন। এডোবি ফটোশপ ব্যবহার করে আপনি ইমেজ ফাইল সাইজ কমাতে পারবেন।তাছাড়া অনলাইনে টাইনি পিএনজি, শপিফাই ইমেজ রিসাইজার এই ধরনের টুলস ব্যবহার করে ইমেজের কোয়ালিটি অক্ষুণ্ণ রেখে ফাইল সাইজ কমাতে পারবেন।

ইমেজ ফাইল টাইপ নির্বাচন। 

আমরা সাধারণত ইমেইজের জন্য ৩ ধরনের ফাইল ফরম্যাট ব্যবহার করি।

ক. PNG (পিএনজি।)

খ. JPEJ (জেপিইজি)

গ. GIF (জিআইএফ)

GIF (জিআইএফ): স্টিল পিকচারের জন্য GIF ফাইল ফরম্যাট ব্যবহার করা উচিত নয়। kb হিসেবে png ফাইলের সাইজ থেকে jip ফাইলের সাইজ ১৫% বেশি হয়। 

JPEJ (জেপিইজি):

তিন ধরনের ফাইল ফরম্যাটের মধ্যে  jpej ফাইল ফরম্যাট ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো। 

PNG (পিএনজি):

একটি ফাইলকে বার বার সেইভ করলে png ফাইলের কোয়ালিটি অক্ষুণ্ণ থাকে অর্থাৎ নষ্ট হয়না।




৬. থাম্বনেইল ইমেজ।

৭. ইমেজ সাইটম্যাপ। 

ডেকোরেটিভ ইমেজ।

আপনার সাইটের ব্যাকএন্ডে ডেকোরেশনের জন্য যে ইমেজ ব্যবহার করা হয় তাকে ডেকোরেটিভ ইমেইজ বলে। বিস্তারিত বলতে গেলে আপনার প্রোডাক্টের ইমেজ এবং আর্টিকেলে ব্যবহৃত ইমেজ ছাড়া বাকী যত ইমেজ আছে যেমন ব্যাকগ্রাউন্ড ইমেজ,ইমেজ বাটন ইত্যাদি ডেকোরেটিভ ইমেজ।

৯. ইমেইজ টেস্ট। 

১০. সুন্দর ইমেইজ।




Feuther Image 

ফিচার ইমেজ না থাকলে পোস্ট ফাঁকা ফাঁকা লাগে। দেখতে সুন্দর লাগেনা।তাই পোস্টের সাথে মিল রেখে একটি রিলেভেন্ট ও কপিরাইট ফ্রি ইমেজ দেওয়া ভালো। আপনি যদি আপনার পোস্টে একাধিক ইমেজ ব্যবহার করেন তাহলে প্রথম যে ইমেজটি ব্যবহার করবেন সেটিই পোস্টের ফিচার ইমেজ বিবেচিত হবে।আর যদি একটি মাত্র ইমেজ ব্যবহার করেন তাহলে ঐ একটি ইমেজই ফিচার ইমেজ হিসেবে বিবেচিত হবে।


Unique image ও Copyright free image

যে ইমেজ ইতিপূর্বে কেউ ওয়েবসাইটে  ব্যবহার করেনি সে ইমেজকে ইউনিক ইমেজ বলে।আবার যে ইমেজ বিভিন্ন সাইটে আছে কিন্তু কপিরাইট নেই তাকে  কপিরাইট ফ্রি ইমেজ বলি।

আপনি চাইলে আপনার পোস্টের সাথে মিল রেখে আপনি ভালোমানের ইমেজ ক্যামেরা দিয়ে তুলতে পারেন অথবা গ্রাফিক্সের সাহায্যে তৈরী করতে পারেন।তাহলে আপনার ইমেজকে ১০০% ইউনিক ইমেজ বলা যাবে।

বলে রাখা ভালো আপনি যদি কপিরাইট ইমেজ বা অন্য কারো সাইট থেকে ইমেজ কপি করে ব্যবহার করেন তাহলে গুগল আপনাকে পেনাল্টি দিবে।আপনার পেইজ বা ওয়েবসাইট গুগল র‍্যাংকে আসবেনা।

সময় বাঁচানোর জন্য বা গ্রাফিক্স ভালো ভাবে না জানার কারনে অনেকে গুগল থেকে ইমেজ কপি করে একটু এডিট করে ইমেজকে কপিরাইট ফ্রি করে ব্যবহার করেন।এই পদ্ধতি ব্যবহার করে গুগলের রোবটকে ফাঁকি দেওয়া যায়।গুগলের রোবট ইমেজকে পড়তে পারেনা।এজন্য দেখতে একই রকম ইমেজ কপিরাইট আইন থেকে রক্ষা পায়।

এবার আমরা শিখবো কিভাবে কপিরাইট ইমেজকে কপিরাইট ফ্রি করা যায়।প্রথমে গুগলে যাবেন।তারপর mango in bd লিখে সার্চ করবেন। তারপর image এ ক্লিক করবেন >> tools >> user rights >> Creative common filter

এবার যে ইমেজগুলো শো করবে এগুলা কপি রাইট ফ্রি। কিন্তু ইউনিক ইমেজ নয়।আপনি যেকোন একটি ইমেজ ডাউনলোড করবেন।আপনার ডাউনলোডকৃত ইমেজটি বিভিন্ন সাইটে কতবার ব্যবহার করা হয়েছে যাচাই করুন।

google >> image >> camera >> upload 

বামে উপরে আপনার আপলোডকৃত ইমেজটি দেখাবে।ইমেজের উপর কারসর বা মাউজ রাখলে হাতের চিহ্ন বা ক্লিকেইবল চিহ্ন আসবে।ক্লিক এইবল চিহ্ন শো করলে বুঝতে পারবেন ইমেজটি বিভিন্ন সাইটে ব্যবহার করা হয়েছে। ডানে দেখতে পারবেন কোন কোন সাইটে কতবার ব্যবহার করা হয়েছে। 

এখন আপনি যদি চান আপনার আপলোডকৃত ইমেইজ আপনি কপিরাইট ফ্রি করবেন তাহলে নিচের পদ্ধতি অনুসরন করুন।

adobe photoshop >> new page  : width:16;

height:8;

resolution:100

আপনি চাইলে আপনার সুবিধা অনুযায়ী সাইজ পরিবর্তন করতে পারেন।তারপর ব্রাইটনেস প্রয়োজন অনুযায়ী বাড়াবেন বা কমাবেন। সেইভ করবেন jpg বা png তে ক্লিক করে। jpg তে সেইভ করলে kb লাগবে কম। png তে সেইভ করলে kb লাগবে বেশি। ইমেইজ সাইজ যেন ২০০ kb এর বেশি না হয়।


Image Optimization তিনভাবে তিন জায়গায় করা যায়। 


১. ইমেইজের properties details রিমুভ করে।

২. ব্লগস্পট সাইটে ইমেইজের সেটিংস  ব্যবহার করে।

৩. প্লাগিন ব্যবহার করে।


ইমেইজের property details রিমুভ কিভাবে করবো? 


যে image optimize করতে হবে সেটিকে ডেস্কটপে নিয়ে ইমেইজের উপর মাউজ নিয়ে রাইট বাটন ক্লিক করে Rename এ যেতে হবে। তারপর আপনি যথাসম্ভব ইমেইজের নাম ছোট করে লিখবেন।একাধিক শব্দ হলে সেপারেটর হিসেবে হাইপেন (-) বা ড্যাশ (_) ব্যবহার করবেন। যেমন newborn-baby-clothes.


এবার যে image optimize করতে হবে সেটিকে ডেস্কটপে নিয়ে ইমেইজের উপর মাউজ নিয়ে রাইট বাটন ক্লিক করে properties এ যেতে হবে। >>  details >> remove properties and personal information>> remove the following  properties from the list  >> select all >> ok.

এভাবে ইমেইজের পূর্বের সকল তথ্য মুছে যাবে। এবার আপনার নতুন তথ্য যোগ করার পালা বা ইমেইজ অপ্টিমাইজ করার পালা।

Image এর মধ্যে মাউজ নিয়ে রাইট বাটনে ক্লিক করে properties এ যাবেন।তারপর details এ যাবেন।

Title: আপনি যে আর্টিকেল নিয়ে কাজ করছেন তার টাইটেল লিখে দিবেন।

Subject: এই অংশেও আপনি যে আর্টিকেল নিয়ে কাজ করছেন তার টাইটেল লিখে দিবেন।

Rating: ডাবল ক্লিক করে ৫ ষ্টার দিবেন।

Tag: মূল কিওয়ার্ডের পাশাপাশি আরও ৩-৪ টি রিলেটেড কিওয়ার্ড লিখে দিবেন।

Comment: কিওয়ার্ডকে ফোকাস করে ১-৩ বাক্যের মধ্যে Meta description এর মত করে লিখবেন।

Author: আপনার ওয়েবসাইটের নাম লিখবেন।

Date: তারিখ লিখবেন।

Copyright: আপনার নাম অথবা আপনার ওয়েবসাইটের নাম লিখবেন।

তারপর apply >> ok

প্রকৃতপক্ষে গুগলের রোবট ইমেজ পড়তে পারেনা। গুগলের রোবট ইমেইজের সাথে জুড়ে দেওয়া টেক্সট পড়তে পারে।



আপনি যদি ব্লগ বা ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করেন তাহলে ইমেইজ আপলোড দেওয়ার সময় ইমেইজের নিচে বিভিন্ন টুলস ব্যবহার করে ইমেইজ অপ্টিমাইজ করতে পারবেন।

Toggle Caption: ইমেইজের নিচে ইমেইজ পরিচিতি।

Alt text: অল্টার টেক্সট হচ্ছে ব্রাউজার কোন কারনে যদি ইমেইজ লোড করতে না পারে তাহলে ইমেইজের রিপ্লেসম্যান্ট হিসেবে একটি টেক্সট প্রদর্শন করে। SEO এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ এটি।গুগলের রোবট মূলত Alt text এ যে লেখা আছে সেটা পড়ে এবং লেখা অনুযায়ী  র‍্যাংকিং এ নিয়ে আসে। মনে করুন আপনি ইমেইজের Alt text অপশনে newborn baby's clothes লিখলেন। ভিজিটর আপনার সাইটে আসলো।এখন স্লো নেটওয়ার্ক বা ব্রাউজার সেটিংস বা অন্য কোন কারনে যদি ইমেইজ লোড না হয় তাহলে ইমেইজের স্থানে newborn baby's clothes লেখা শো করবে। যার উদ্দেশ্য হচ্ছে ইমেইজ লোড না হলেও পাঠক যেন বুঝতে পারে এখানে একটি newborn baby's clothes এর ইমেইজ আছে। Alt text এ Stop Word লেখা যাবেনা।

Title text: ইমেইজের উপর মাউজ রাখলে টাইটেল টেক্সট প্রদর্শিত হয়। টাইটেল টেক্সট ১ টি বাক্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।


কিভাবে প্লাগিন ব্যবহার করে ইমেইজ অপ্টিমাইজ করবো? 



Post a Comment

1 Comments