Header Ads Widget

Responsive Advertisement

কেন আপনি দুগ্ধবতী গাভীর খামার করবেন না?

দুগ্ধবতী গাভীর খামার করা একটা চ্যালেঞ্জিং কাজ।সবাইকে দিয়ে এই খামার পরিচালনা করা যায়না এবং সবাই লাভবান হতে পারেনা। কিন্তু কেন? প্রশ্নের উত্তর পেতে আপনাকে মনযোগ দিয়ে লেখাটি পড়তে হবে।

দুগ্ধবতী গাভীর খামার করার প্রয়োজনীয় উপকরণ 

কেন আপনি দুগ্ধবতী গাভীর খামার করবেন না?

কারন

১. আপনার গাভী লালন পালনের  প্রশিক্ষণ নাই।

২. আপনি ব্যাংক লোন দিয়ে খামার শুরু করতে চান।

৩. আপনি গোবরের গন্ধ সহ্য করতে পারেন না।

৪. আপনি গরুর দাঁত ভাংগা বোঝেন না।

৫. আপনি গরুর জাত ও পারসেন্টেজ কি সেটা জানেন না।

৬. আপনার ঘাসের জমি নেই।

৭. আপনার টাকা আছে কিন্তু সময় নেই। ছোট ভাইকে দিয়ে খামার পরিচালনা করতে চাচ্ছেন।

৮. বাসস্থান নির্মাণের খরচ ও কত টাকা পুঁজি লাগবে আপনার জানা নেই।

৯. গাভীর রোগ ব্যাধি সম্পর্কে আপনার জানা নেই।

১০. কবে হিটে আসবে, কখন বীজ দিবেন, হিটে না আসলে কি করণীয় এসব ব্যাপারে আপনি জানেন না।

১১. দুধ বিক্রি কোথায় করবেন আপনি জানেন না।

১২. দুধ বিক্রি করতে না পারলে দুধ কি করবেন?

১৩. গাভী না বকনা দিয়ে শুরু করলে লাভজনক আপনি জানেন না।

১৪. কর্মচারীর যন্ত্রণা সহ্য হয়না।

১৫. খাবার মজুদ করার পর্যাপ্ত টাকা নেই।

১৬. খামার পরিচালনার বাজেট আপনার জানা নেই।

উপরের একটি বিষয় যদি আপনার মধ্যে বিদ্যমান থাকে তাহলে আপনি খামার করবেন না।আসুন উপরের কারণগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

গাভীর খামার


প্রশিক্ষণঃ প্রশিক্ষণ না নিয়ে আপনি খামার শুরু করলে আপনি প্রতি পদে পদে  বড় বড় সমস্যার  সম্মুখীন হবেন। এই সমস্যাগুলো সমাধান করতে করতে আপনার নগদ টাকা চলে যাবে পাশাপাশি গাভীও নষ্ট হয়ে যাবে। অবশেষে আপনার জীবনে হতাশা চলে আসবে।তাই খামার করতে চাইলে উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরে যোগাযোগ করে প্রশিক্ষণ নিয়ে খামার শুরু করুন। প্রশিক্ষণ নিলে কি কি সুবিধা পাবেন তা সম্পূর্ণ লেখা পড়লে জানতে পারবেন।


ব্যাংক লোনঃ আল্লাহ সুদকে হারাম করেছেন। হারাম বস্তুতে আল্লাহর রহমত বরকত নেই। চোখ বন্ধ করে বলা যায় ব্যাংক লোন নিয়ে খামার করলে হয়তো দেখা যাবে আপনি সাময়িক সফল কিন্তু অবশেষে আপনি লসের মধ্যে থাকবেন।অতএব আপনি মুসলিম হলে ব্যাংক লোনের চিন্তা মাথা থেকে বের করে ফেলুন। তাছাড়া ব্যাংক কাকে লোন দিবে? যার ইতিমধ্যে খামার আছে এবং ৫-৬ টি গরু আছে। খামার সম্প্রসারণ করতে চাইলে ব্যাংক তাকে লোন দিবে। আপনি যেহেতু খামার শুরু করবেন আপনাকে ব্যাংক লোন দিবে না।

ব্রাকের মত কিছু এনজিও আছে যারা আপনাকে সহজ শর্তে লোন দিবে। কিন্তু মাস শেষ হলেই আপনাকে কিস্তি পরিশোধ করতে হবে।লোন হাতে পাবার পর গাভীর জন্য বাসস্থান তৈরী, গাভী কিনতে আপনার হয়তো ১ মাস লেগে যেতে পারে। আপনি তখনও আয়ের মুখ দেখেননি আপনি কিভাবে কিস্তি পরিশোধ করবেন? অতএব ক্যাশ টাকা না থাকলে খামার করার চিন্তা মাথা থেকে মুছে ফেলুন।


গোবরের গন্ধ 

আপনি গোবরের গন্ধ সহ্য করতে পারেন না। আপনার ওয়াক আসে। তাহলে প্লিজ আপনি খামার করবেন না। কর্মচারী অসুস্থ হলে আপনাকে গরুকে গোসল করাতে হতে পারে, ময়লা পরিষ্কার করা লাগতে পারে বা গাভী দোহন করা লাগতে পারে আপনি তখন কিভাবে পরিস্থিতি সামাল দিবেন?


গরুর দাঁত 

অভিজ্ঞ খামারিরা গরুর দাঁত দেখে গরুর বয়স বলতে পারে। দাঁত সম্পর্কে আইডিয়া না থাকলে যখন গরু কিনতে যাবেন আপনাকে দুষ্টু ব্যাপারীরা বা খামারিরা বয়স্ক গাভী হাতে ধরিয়ে দিবে। বয়স্ক গাভী থেকে আপনি দুধ কম পাবেন এবং এই গাভী বেশিদিন বাঁচবেনা।


গরুর জাত ও পারসেন্টেজ

আপনি গরুর জাত ও পারসেন্টেজ কি সেটা জানেন না।আপনি একটা খামারে গেলেন গরু কিনতে।আপনি একটি  পিউর ১০০% হলোস্টিয়ান ফ্রিসিয়ান জাতের গাভী কিনলেন যে গাভীটি ৩০ কেজি দুধ দেয়।কিন্তু আপনি জানেন না গাভীটিকে কেমন পরিবেশে রাখতে হবে,  তাপমাত্রা কত সে সহ্য করতে পারে, কত কেজি খাবার দিতে হবে। এসব না জানার কারনে গাভীটির দুধ ১০ লিটারের  নিচে নেমে আসতে পারে।তখন আপনি হয়তো বলবেন দুধ হচ্ছে ভাগ্যের ব্যাপার!!অথবা আপনি একটি হলোস্টিয়ান ফ্রিসিয়ান জাতের গাভী পছন্দ করলেন।  খামারি বললো ৭৫% হলোস্টিয়ান ফ্রিসিয়ান জাতের গাভী এটি। কিন্তু বাস্তবে গাভীটি ৫০% হলোস্টিয়ান ফ্রিসিয়ান জাতের গাভী। এখানেও আপনি ঠকলেন। আপনি হয়তো ঠকে ঠকে শিখতে শিখতে আপনার পুঁজি শেষ। তাই প্লিজ খামার করার আগে প্রশিক্ষণ নিন। হয়তো কিছু টাকা খরচ হবে কিন্তু এই টাকা আপনাকে অনেক বড় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করবে।


ঘাসের জমি

আপনার ঘাসের জমি না থাকলে বা লিজ নেয়ার মত জমি না পেলে খামার করে লাভবান হতে পারবেন না। আপনি যতজন সফল খামারিকে দেখবেন সবার ঘাসের জমি আছে বা জমি লিজ নিয়ে ঘাস চাষ করছে। আপনি হয়তো ৫ টি বা ১০ টি গাভী দিয়ে খামার শুরু করতে চাইছেন। ৫ টি গাভীর জন্য কতটুকু জমিতে ঘাস লাগাতে হবে তা আপনাকে জানতেই হবে। যখন বন্যার কারনে ঘাস পানির নিচে তলিয়ে যাবে তখন গরুকে কি খাওয়াবেন?যদি বন্যাপ্রবন এলাকাতে খামার করে থাকেন তাহলে বন্যার কথা ভেবে প্রয়োজনীয় সাইলেজ প্রস্তুত করতে পারবেন কিনা বা দানাদার খাবারের যোগান দিতে পারবেন কিনা এসব আপনার পরিকল্পনায় থাকতে হবে। 

যেদিন ঘাস লাগাবেন তার ৩ মাস পরে খামার করবেন, গাভী কিনবেন। গাভী কিনে ঘাস লাগালে ঘাস পাবেন ৩ মাস পরে। এই তিন মাস গাভীকে দানাদার খাবার খাওয়াতে হবে। প্রতিদিন, প্রতিবারে দানাদার খাওয়ালে গাভীর পেটে গ্যাস জমতে পারে। তখন আবার পশু ডাক্তারকে টাকা পয়সা দিতে হবে,  ঔষধ কিনতে হবে, ঔষধ খাওয়ানোর যন্ত্রনাতো আছেই।

নেপিয়ারের ঘাসের উপকারিতা জানতে এইখানে ক্লিক করুন। 

বাসস্থান খরচ

আপনি যদি ১০ টি গাভী দিয়ে খামার শুরু করতে চান তাহলে আপনার কয়টি ঘর লাগবে? আপনার ১০ টি গাভীর মধ্যে সব গাভী একসাথে বাচ্চা প্রসব করেনি।কিছু গাভী আছে বাচ্চা দিয়েছে ১ মাস,  কিছু ৪ মাস কিছু ৬ মাস কিছু ১ মাস পরে বাচ্চা দিবে। এসব বিবেচনা করলে আপনার ঘর লাগবে ৪ টি। 

বাছুরের জন্য ০১টি ঘর। 

কিছুদিন পরে বাচ্চা দিবে এদের জন্য ০১ টি ঘর।

বাচ্ছা ডেলিভারির জন্য ০১ টি ঘর।

নতুন গাভী কিনে আনলে  ১০-১৫ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য বা রোগাক্রান্ত গাভীর জন্য একটি ঘর। 

আপনি যদি শুরুতে বেশি খরচ করতে না চান তাহলে কমপক্ষে ২ টি ঘর নির্মান করতে হবে। একটি হচ্ছে নতুন গাভী কিনে আনলে  ১০-১৫ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য বা রোগাক্রান্ত গাভীর জন্য। অন্যটি বাছুর, ড্রাই পিরিয়ডে থাকা গাভী, দুধদানকারী গাভী সবার জন্য।তবে এক গাভী থেকে অন্য গাভীর দূরত্ব বেশি রাখতে হবে যেন  একটি গরু অন্য একটি গর্ভবতী গাভীকে সিং দ্বারা গুঁতা দিতে না পারে। গুঁতা লাগলে গর্ভের বাচ্চা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

ঘর নির্মাণের খরচ আপনাকে জানতে হবে। ঘরের ভিতরের পরিবেশ, অবকাঠামো, খাবার পাত্র, ঘরের দৈর্ঘ, প্রস্থ, উচ্চতা, জানালা হবে কিনা, দরজা কেমন হবে এসব আপনাকে জানতে হবে। অভিজ্ঞ জনের পরামর্শ ছাড়া ঘর করলে আপনাকে হয় ঘর ভাংতে হবে নতুবা গরুর জন্য এই ঘর কষ্টদায়ক হবে।


টাকা আছে সময় নাই

আপনি হয়তো শহরে ভালো বেতনে চাকরি করেন বা আপনি প্রবাসে থাকেন এবং আপনি চাচ্ছেন খামার দিতে। পরিচালনার দায়িত্ব দিতে চান আপনার ছোট ভাই, শ্যালক, কাকা বা মামাকে।খামার যদি কারণবশত লসের মধ্যে পরে আপনার সাথে আত্নীয়ের সম্পর্ক অবনতি হবে। শুধু কাজের লোকের উপর নির্ভর করে খামার পরিচালনা সম্ভব নয়। প্রাণ নিয়ে ব্যবসা করার মধ্যে অনেক ঝুঁকি থাকে। খামারের মালিক হিসেবে আপনি যতটা আন্তরিকতা দেখাবেন আপনার নিযুক্ত কর্মচারী ততটা আন্তরিকতা দেখাতে নাও পারে।


গাভীর রোগ-ব্যাধি 

ইংরেজিতে প্রবাদ আছে "Prevention is better than cure." অর্থাৎ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম। রোগ আসার পরে চিকিৎসা করার চেয়ে রোগ যেন না আসতে পারে তার ব্যবস্থা নেওয়া ভালো। গাভীর রোগ হলে আপনি পাবেন টেনশান আর খরচ হবে অর্থ। গাভীর যেন রোগ আসতে না পারে সে জন্য আগাম ব্যবস্থা নিলে গাভী আপনাকে লাভ অবশ্যই দিবে।

দুধ জ্বর, ওলান ফুলা, ম্যাস্টাটিস, কলিজা কৃমি এসব রোগের কারণ, প্রতিকার, প্রতিরোধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।এই রোগগুলো একবার হয়ে গেলে সুস্থ হতে অনেক সময় লাগে এবং পরবর্তীতে দুধ ও বাচ্চা উৎপাদন কমে যায়।


হিটে আসার সময়, বীজ প্রদান

কোন জাতের বকনা কত মাস বয়সে হিটে আসে, হিটে আসার লক্ষ্মণ কি কি, কত পার্সেন্টেজের বীজ দিতে হবে, হিটে না আসলে করণীয় কি, বীজ কনসিভ না করার কারণ এই বিষয়গুলো ভালোভাবে জানতে হবে। খামারের বাৎসরিক লাভ বাছুর কতটি জন্ম নিল তার উপর নির্ভর করে। 


দুধ বিক্রি 

আপনি খামারের উৎপাদিত দুধ কোথায়,কিভাবে কত দামে বিক্রি করবেন তা জানেন না। ১ লিটার দুধ উৎপাদন করতে কত খরচ হয় আপনি জানেন না। আপনি যদি মিষ্টি ফ্যাক্টরিতে নিয়মিত দুধ সাপ্লাই করেন তাহলে আপনি অনেক প্যারার মধ্যে থাকবেন।যেমন টাকা সময়মত দিবেনা, দুধের মধ্যে ফ্যাট নাই এই অভিযোগে দুধের ন্যায্য দাম দিবেনা। দুধের ফ্যাট কি এটা না জানলে মিষ্টি ফ্যাক্টরির মালিকের সাথে কিভাবে চুক্তিপত্র করবেন?

খোলা বাজারে শীতকালে দুধের দাম কমে যায়। প্রতি লিটার  দুধ বিক্রি হয় ৩৫-৪০ টাকা ধরে। অথচ শুধু দানাদার খাইয়ে দুধ উৎপাদন করতে খরচ হয় প্রায় ৫০ টাকা।আপনি লস কতভাবে দিবেন? তখন উৎপাদন খরচ কমাতে হলে আপনাকে ঘাসই খাওয়াতে হবে।


দুধ বিক্রি করতে না পারলে কি করবেন?

যদি কোন কারনে দুধ বিক্রি করতে না পারেন তাহলে ফ্রিজে রেখে দিবেন? যদি ৪০-৫০ লিটার দুধ হয় তাহলে কি ফ্রিজে রাখা সম্ভব? তাই দুধ থেকে সহজে তৈরী করা যায় এমন কিছু খাবার প্রস্তুত প্রনালী আপনাকে শিখে রাখতে হবে।যেমন ছানা, দই, ঘি ইত্যাদি। এই খাবার আইটেমগুলো আপনি ২-৩ দিন সময় হাতে নিয়ে বিক্রি করতে পারবেন।


গাভী না বকনা?

আপনি কি ধরনের গরু দিয়ে খামার শুরু করলে শুরুতেই লাভজনক হবে সেটা জানতে হবে। খামার শুরু করার কয়েকটি প্যাকেজ আছে। যথাঃ 

১. বাছুরসহ গাভী। 

২. বাছুরসহ গাভী ও বকনা বাছুর 

৩. বকনা বাছুর

৪. ষাড় বাছুর ও বকনা বাছুর

৫. ষাড় বাছুর ও বাছুরসহ গাভী।

৬. ষাড় বাছুর, বাছুরসহ গাভী ও বকনা বাছুর 

একজন অনভিজ্ঞ খামারি হিসেবে কোন প্যাকেজটি আপনার জন্য লাভজনক হবে আপনাকে তা জানতে হবে।



লেবার যন্ত্রণা 

যেকোন ছোট, মাঝারি, বড় ব্যবসার জন্য শ্রমিক- কর্মচারী লাগে।বিশ্বস্ত, সৎ কর্মচারী না পেলে আপনাকে বেশি প্যারা ভোগ করতে হবে। 

যেমন কর্মচারীকে বললেন মিষ্টি ফ্যাক্টরিতে দুধ দিয়ে আসতে। সে পথে ২ কেজি অন্য লোকের কাছে বিক্রি করে ২ লিটার পানি মিশিয়ে দিল। ফ্যাক্টরির মালিক ফোন দিয়ে বললো দুধে ফ্যাট কম।

কর্মচারী ১৫ দিনের ছুটিতে গেছে ১ মাসে অগ্রিম বেতন নিয়ে। যখন ১৫ দিন পরে ফিরে আসলোনা, আপনি কল দিয়ে দেখলেন মোবাইল বন্ধ। নতুন কর্মচারী ম্যানেজ করা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। এর মধ্যে কর্মচারীর অভাবে আপনার গরুগুলো সঠিক যত্ন পাইনি। দুধ উৎপাদন কমে যেতে পারে। দুধ একবার কমে গেলে আবার দুধ নামানো সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।


অসৎ কর্মচারী চাইলেই আপনার গাভীকে  নষ্ট করে দিতে পারে। গাভী দুধ দেয় ১৫ লিটার। কিন্তু সে ইচ্ছে করে ১৩ লিটার দোহন করলো।ওলানের মধ্যে এভাবে দুধ জমা রাখলে গাভীর ম্যাস্টাটিজ রোগ হতে পারে। ম্যাস্টাটিজ হলে দুধ উৎপাদন কমে যায় সাথে ডাক্তারের কাছে ছুটাছুটি করতে হয়। টাকার কথা নাই বললাম।



গাভীর কমপক্ষে ১ মাসের খাবার মজুদ করে রাখতে হবে। মনে করুন আজকে সকালে খাবার শেষ হয়ে গেছে। আপনি হয়তো ভেবে রেখেছেন দুপুরে যাবেন।কিন্তু দুপুরে কোন কারনে যাওয়া হয়নি। বিকালে কচুরিপানা, ধানের কুড়ার সাথে এটা সেটা মিক্স করে খাওয়ালেন।পরেরদিন সকালে তাই করলেন। ফলাফল দুধের উৎপাদন কমে গেছে। দুধ কমে গেলে দুধ নামানো মুশকিল হয়ে পড়ে। তাই কমপক্ষে ১ মাসের খাবার আপনাকে মজুদ রাখতে হবে।


খামার পরিচালনার বাজেট 

গরু কেনা, বাসস্থান নির্মাণ খরচ


আপনি যদি ঠকে ঠকে শিখতে চান আপনি হয়তো শিখতে পারবেন। কিন্তু অভিজ্ঞতা অর্জন করতে করতে আপনি পুঁজি হারিয়ে ফেলবেন। তাই আমার পরামর্শ হচ্ছে প্রশিক্ষণ নিন সাথে সাথে কয়েকটি সফল খামারে ভিজিট করুন। দেখুন, শিখুন, মাইন্ড সেটআপ করুন এবং প্রচুর প্যারা নেওয়ার ধৈর্য্য থাকলে  তারপর খামার শুরু করুন। আপনার জন্য রইলো অনেক শুভ কামনা।

Post a Comment

0 Comments