উঁচু জমির জন্য সবচেয়ে ভালো জাতের ঘাসগুলোর মধ্যে অন্যতম নেপিয়ার ঘাস। বিভিন্ন উপকারিতা থাকার কারনে খামারিদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষ স্থানে রয়েছে লাল রঙের নেপিয়ার ঘাস। বেশ কিছুদিন যাবত গরু খামারিরা এই জাতের ঘাস চাষাবাদ করছে।
নেপিয়ার ঘাসের বৈশিষ্ট্য
১. এই ঘাসে প্রোটিনের পরিমান ১৪%
২. দ্রুত বর্ধনশীল।
৩. রোপনের ৪৫-৬০ দিনের মাথায় কাটা যায়।
৪. উঁচু জমিতে চাষ করা যায়।
৫. একবছরে বিঘা প্রতি ১৫০ টন ফলন হয়।
৬. পাতার উল্টো পাশে হালকা ধার থাকে।
৭. গরু ছাগল উভয়ই পছন্দ করে।
৮. জীবনকাল ৩ বছর।
উপকারিতা
দ্রুত বর্ধনশীল নেপিয়ার ঘাসে প্রোটিনের পরিমান ১৪%। দানাদার খাবারের মূল্য বৃদ্ধির কারনে দানাদার খাবারের পরিমান কমিয়ে পাশাপাশি নেপিয়ার ঘাস খাওয়ানো যেতে পারে। নেপিয়ার ঘাস খাওয়ালে দানাদার খাবারের জন্য খরচের পরিমান কমানো সম্ভব। নিয়মিত নেপিয়ার ঘাস খাওয়ালে গাভী যথাসময়ে হিটে আসে।
কখন রোপন করবেন?
বছরের যেকোন সময় এই জাতের ঘাস রোপন করা যায়। তবে যেখানে শীতকালে অন্য জাতের ঘাসের ফলন কম হয় সেখানে নেপিয়ার ঘাসের ফলন তুলনামূলক বেশি হয়।
জমি নির্বাচন
এঁটেল মাটি, বেলে মাটি, দোঁ-আশ ও বেলে দোঁ-আশ মাটি অর্থাৎ বাংলাদেশের সব মাটিতে এই ঘাসের ভালো ফলন হয়। যে জমিতে পানি উঠে অর্থাৎ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় সে জমিতে নেপিয়ার ঘাস ভালো জন্মে।
সার ও গোবর প্রয়োগ
জমিতে বেশি বেশি গোবর প্রয়োগ করতে হবে। কি পরিমান গোবর সার দিবেন এটার নির্দিষ্ট পরিমাপ নেই। আপনি যত খুশি গোবর প্রয়োগ করতে পারবেন।গোবরের পরিমান যত বেশি ঘাসের ফলন তত বেশি।গোবরের জন্য আপনাকে টাকা খরচ করতে হচ্ছেনা। আপনার খামারের জমানো গোবর প্রয়োগ করুন। আপনি চাইলে রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু কেন টাকা খরচ করবেন? আর রাসায়নিক সারের অবশ্যই অপকারিতা আছে।
জমি প্রস্তুত
রাসায়নিক সার ইউরিয়া, পটাশ, টিএসপি প্রয়োগ করে ট্রাক্টর দিয়ে উত্তমরূপে ২ বার চাষ করুন। আপনি যদি মনে করেন আপনি গরুকে অর্গানিক ঘাস খাওয়াবেন তাহলে জমিতে শুধুমাত্র প্রচুর গোবর সার প্রয়োগ করুন।
বীজ না কাটিং?
নেপিয়ার ঘাসের বীজ হয়না। তাই আপনাকে ২ গিঁটের কাটিং সংগ্রহ করে রোপন করতে হবে। ১ গিঁটের কাটিং এর চেয়ে ২ গিঁটের কাটিং উত্তম।
কাটিং প্রস্তুত
যে ঘাস থেকে কাটিং সংগ্রহ করবেন সে ঘাসগুলোকে লম্বা ও শক্ত হওয়ার জন্য সময় দিবেন। ঘাস কাটার সময় গোড়া থেকে ৩ ইঞ্চি বাদ দিয়ে কেটে দিবেন।তারপর ২ গিঁট পরপর কাটিং কাটবেন। সবগুলো কাটিং ছায়াযুক্ত স্থানে জড়ো করে পানি ছিটিয়ে বস্তা বা মোটা কাপড় দিয়ে জাঁক দিবেন। এভাবে ২ দিন রেখে দিলে গিঁট থেকে কুশি বের হবে। এখন আপনার কাটিং রোপনের উপযোগী।
রোপন পদ্ধতি
২টি গিঁটকে মাটির সাথে সমান্তরালভাবে রোপন করবেন। কেউ কেউ মাটির সাথে ৪৫ ডিগ্রি এংগেলে একটি গিঁট মাটির নিচে অপর একটি গিঁট মাটির উপর থাকে এ অবস্থায় রোপণ করেন। এটা ভুল পদ্ধতি। একটি কাটিং থেকে অন্য একটি কাটিং এর দূরত্ব হবে ১৮ ইঞ্চি ।
১ শতকে কি পরিমান কাটিং লাগে?
আগাছা পরিষ্কার
আপনি ঘাসকে ঘাস হিসেবে চাষ করলে কাংখিত ফলন পাবেন না। ঘাস রোপনের ১-৬ মাস পর্যন্ত আপনাকে বিশেষ যত্ন নিতে হবে। আপনার রোপনকৃত বিশেষ জাতের ঘাসের সাথে আগাছাগুলোকে বাড়তে দেওয়া যাবেনা।মনে রাখবেন এই আগাছা অত্যন্ত নিম্নমানের ঘাস।এই আগাছায় প্রোটিনের মাত্রা ২-৩%। নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার করলে জমিতে থাকা পুষ্টি শুধু আপনার রোপনকৃত ঘাসই পাবে এবং ঘাস দ্রুত বড় হবে।
সেচ
আগাছা পরিষ্কার করার পর আপনার জমির মাটি ভেজা- শুকনোর উপর ভিত্তি করে সেচ দিবেন। কতবার সেচ দিবেন সেটা আপনার জমির মাটির উপর নির্ভর করে।
উপরি সার প্রয়োগঃ
গরুকে অর্গানিক ঘাস খাওয়ালে জমিতে সার প্রয়োগ না করাই ভালো। ঘাস যদি ৬ ইঞ্চি পরিমান লম্বা হয় তাহলে আগাছা পরিষ্কার করার পর সেচ দিয়ে ইউরিয়া সার প্রয়োগ করবেন। অনেকে বর্ষা মৌসুমে খামারের সাথে ঘাস ক্ষেত থাকলে খামারের ময়লা পানি, গোবরের সাথে সরাসরি ক্ষেতের ড্রেইন করে দেয়। তবে এটা করবেন না। আপনার খামারের কোন গরু কৃমি দ্বারা আক্রান্ত হলে গোবরের সাথে কৃমি বের হয়। আর সেই গোবর, ময়লা পানি ঘাসের জমিতে প্রয়োগ করলে ঘাসের মধ্যে ঐ কৃমি মিশে যায়। পরবর্তীতে আপনি সেই ঘাস কোন সুস্থ গরুকে খাওয়ালে ঐ গরু কৃমি দ্বারা আক্রান্ত হয়।
প্রথম বার ঘাস কখন কাটবেন?
প্রথম বার ঘাস কাটার সময় একটু সতর্ক থাকতে হয়। প্রথম বার সাইজ, গ্রোথ দেখে আপনি ঘাস কাটবেন না।আপনি নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে ঘাস চাষ করলে রোপনের ৩০ দিন পর ঘাস কাটতে পারবেন। তবে আপনি প্রথম বার ভালো ফলন পাবেন না। আপনার কাছে মনে হবে গাসের সাইজ ছোট। তবুও আপনাকে ঘাস কাটতে হবে। সঠিক সময়ে ঘাস না কাটলে পরবর্তী হারভেস্টে আপনি ঘাসের ফলন কম পাবেন। তাই সঠিক সময়ে ঘাস হারভেস্ট করতে হবে।
বিশেষ সাবধানতা
ঘাস কাটার সময় গোড়া থেকে ২-৩ ইঞ্চি বাদ দিয়ে কেটে দিবেন। তাহলে নতুন চারা গজাবে। বেশি উপরে কাটলে যেখানে কেটেছেন সেখান থেকে পাতা বের হবে, নতুন চারা বের হওয়ার সম্ভাবনা কম। নতুন চারা বের না হলে পরবর্তীতে ফলন কমে যাবে।
প্রথম বার ঘাস কাটার পর কি কি করতে হবে?
১. আগাছা পরিষ্কার
২. সার বা গোবর প্রয়োগ
৩. সেচ
দ্বিতীয় বার ঘাস কখন কাটবেন?
প্রথম বার ঘাস কাটার পর ঘাসের সাইজ, গ্রোথ দেখে ৩০-৩৫ দিনের মাথায় দ্বিতীয় বার ঘাস কাটতে পারবেন। কিছু ঘাস আছে যাদের কাটার সময় হলে ফুল আসে।নেপিয়ার ঘাসের ফুল হয়না। যদি দেখেন ঘাসের গোড়ার কান্ড শক্ত হয়নি কিন্তু অল্প কিছুদিনের মধ্যে শক্ত হয়ে যাবে বা কিছু কিছু ঘাসে ফুল চলে এসেছে তখনই ঘাস হারভেস্ট করবেন। সাধারণত ৩ ফিট লম্বা হলেই কাটার সময় হয়।
দ্বিতীয় বার ঘাস কাটার পর কি কি করতে হবে?
১. আগাছা পরিষ্কার
২. সার বা গোবর প্রয়োগ
৩. সেচ
১ বছরে এক শতক জমিতে কত খরচ হবে?
১ বছরে এক শতক জমিতে কি পরিমান ঘাসের ফলন হয়?
শুধু নেপিয়ার ঘাস দিয়ে গরু পালন সম্ভব?
কেস স্টাডি ০১ঃ
একটি ৩০০ কেজি ওজনের গাভী ১০ লিটার দুধ দেয়। তাহলে ঐ গাভীর জন্য প্রতিদিন কি পরিমান নেপিয়ার ঘাস বা দানাদার খাবার লাগবে?
সবার আগে আমাদেরকে যে কাজটি করতে হবে তা হচ্ছে গরুটির জন্য কত মেগাজুল শক্তি ও কত গ্রাম প্রোটিন লাগবে তা নির্ণয় করা।
মেগাজুল নির্ণয়
সূত্র ১ঃ গাভীর ওজনের ১০% মেগাজুল লাগে।
৩০০ কেজির গাভীর প্রয়োজনীয় মেগাজুল ৩০ মেগাজুল।
সূত্র ২ঃ প্রতি ১ লিটার দুধের জন্য ৫ মেগাজুল শক্তি লাগে।
১০ লিটার দুধের জন্য ৫০ মেগাজুল শক্তি লাগে।
তাহলে গাভীর মোট ৮০ মেগাজুল শক্তি লাগে।
সূত্র ০৩ঃ প্রতি ১ কেজি দানাদার খাবারে ১০ মেগাজুল শক্তি থাকে।
তাহলে ঐ গাভীর জন্য ৮০ মেগাজুল শক্তি পেতে ৮ কেজি দানাদার লাগবে।
সূত্র ০৪ঃ প্রতি ১ কেজি ঘাসে ২ মেগাজুল শক্তি থাকে।
তাহলে ঐ গাভীর জন্য ৮০ মেগাজুল শক্তি পেতে ৪০ কেজি কাঁচা ঘাস লাগবে।
প্রোটিনের পরিমান নির্ণয়
সূত্র ০৫ঃ গাভীর প্রতি ১ কেজি ওজনের জন্য ১ গ্রাম প্রোটিন লাগে।
৩০০ কেজি ওজনের গাভীর জন্য প্রোটিন লাগে ৩০০ গ্রাম
সূত্র ০৬ঃ প্রতি ১ লিটার দুধের জন্য ১০০ গ্রাম প্রোটিন লাগে।
১০ লিটার দুধের জন্য ১০০*১০ = ১০০০ গ্রাম প্রোটিন লাগে।
তাহলে গাভীর মোট ১৩০০ গ্রাম প্রোটিন লাগে।
সূত্র ০৭ঃ ১ কেজি দানাদার খাবারে ২০০ গ্রাম প্রোটিন থাকে।
গাভীর জন্য ১৩০০ গ্রাম প্রোটিন পেতে (১৩০০/২০০)= ৬.৫ কেজি দানাদার খাবার লাগবে।
সূত্র ০৮ঃ নেপিয়ার ১ কেজি ঘাসে ৬০ গ্রাম প্রোটিন থাকে।
গাভীর জন্য ১৩০০ গ্রাম প্রোটিন পেতে হলে গাভীকে ২১.৬৭ কেজি নেপিয়ার ঘাস দিতে হবে।
৮০ মেগাজুল শক্তি পেতে গাভীকে ৪০ কেজি কাঁচা নেপিয়ার ঘাস দিতে হবে। আবার এই ৪০ কেজি কাঁচা নেপিয়ার ঘাস থেকে ২,৪০০ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। অথচ গাভীটির জন্য প্রয়োজন ১৩০০ গ্রাম প্রোটিন। অতিরিক্ত (২৪০০-১৩০০)= ১,১০০ গ্রাম প্রোটিন গাভীর জন্য ক্ষতি হবে কিনা সেটি এখন আলোচনা করা যাক।
গাভীটিকে শুধু দানাদার খাবার খাওয়ালে প্রতিদিন ৮ কেজি দানাদার খাবার দিতে হবে। যার ক্রয়মূল্য (৮* ৪০)= ৩২০ টাকা।
এক কেজি নেপিয়ার ঘাস উৎপাদন করতে খরচ হয় ২ টাকা। গাভীটিকে শুধু নেপিয়ার ঘাস খাওয়ালে প্রতিদিন ৪০ কেজি ঘাস দিতে হবে। যার ক্রয়মূল্য (২*৪০)= ৮০ টাকা।অর্থাৎ শুধু নেপিয়ার ঘাস খাওয়ালে প্রতি গরুতে প্রতিদিন ২৪০ টাকা খরচ কমে যায়।
মাসে একটি গাভীর পিছনে ৭,২০০ টাকা বেঁচে যায়।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে একটি গাভী কি প্রতিদিন ৪০ কেজি কাঁচা ঘাস খেতে পারবে?
এক্ষেত্রে আপনাকে একটু কৌশলী হতে হবে।
আপনি ৫ কেজি কাঁচা ঘাস রোদে ভালভাবে শুকালে ১ কেজি হয়ে যাবে। গাভীর জন্য ৪০ কেজি ঘাসের মধ্যে ১০ কেজি কাঁচা ঘাস রোদে ভালভাবে শুকিয়ে ২ কেজিতে পরিনত করতে হবে। এবার গাভীকে সকালে ১৫ কেজি কাঁচা নেপিয়ার ঘাসের সাথে ১ কেজি শুকানো ঘাস মিক্স করে খাওয়াবেন। এটা গাভীর জন্য ভালো হবে। কাঁচা ঘাস খাওয়ালে গাভীর পাতলা পায়খানা হয়। শুকনো ঘাস মিক্স করে খাওয়ালে পাতলা পায়খানা হবার সম্ভাবনা থাকেনা।
বিকালেও ঠিক একইভাবে খাবার পরিবেশন করবেন। তবে মনে রাখবেন খড় কাটার মেশিন বা চপার মেশিনের সাহায্যে কাঁচা ও শুকনো ঘাসকে কুচি কুচি করে ২-৩ ইঞ্চি সাইজ করে খাওয়াবেন। এভাবে ছোট ছোট করে গাভীর সামনে দিলে গাভী খাবার নষ্ট করতে পারেনা ফলে খাবার অপচয় হয়না।
কেস স্টাডি ০২ঃ
একটি ২৫০ কেজি ওজনের বকনা বাছুর বা গরুর জন্য প্রতিদিন কত কেজি নেপিয়ার ঘাস লাগে?
সবার আগে আমাদেরকে যে কাজটি করতে হবে তা হচ্ছে গরুটির জন্য কত মেগাজুল শক্তি ও কত গ্রাম প্রোটিন লাগবে তা নির্ণয় করা।
একটি গরুর তার ওজনের ১০% মেগাজুল শক্তি লাগে।
সুতরাং ২৫০ এর ১০% = ২৫ মেগাজুল।
গরুটির প্রতিদিন ২৫ মেগাজুল শক্তি লাগে।
গরুটির জন্য প্রতিদিন নেপিয়ার ঘাস লাগে (২৫/২) = ১২.৫ কেজি।
গরুর ওজন যত কেজি তত গ্রাম প্রোটিন লাগে।
যেহেতু গরুর ওজন ২৫০ কেজি সেহেতু গরুটির জন্য প্রতিদিন ২৫০ গ্রাম প্রোটিন লাগে।
১২.৫ কেজি নেপিয়ার ঘাস থেকে আমরা পাই (১২.৫*৬০)= ৭৫০ গ্রাম প্রোটিন। অথচ গাভীটির জন্য প্রয়োজন ২৫০ গ্রাম প্রোটিন। অতিরিক্ত (৭৫০-২৫০)= ৫০০ গ্রাম প্রোটিন গাভীর জন্য ক্ষতি হবে কিনা সেটি এখন আলোচনা করা যাক।
একটি ২৫০ কেজি ওজনের বকনা বাছুর বা গরুর জন্য প্রতিদিন কত কেজি দানাদার খাবার লাগে?
সবার আগে আমাদেরকে যে কাজটি করতে হবে তা হচ্ছে গরুটির জন্য কত মেগাজুল শক্তি ও কত গ্রাম প্রোটিন লাগবে তা নির্ণয় করা।
একটি গরুর তার ওজনের ১০% মেগাজুল শক্তি লাগে।
সুতরাং ২৫০ এর ১০% = ২৫ মেগাজুল।
গরুটির প্রতিদিন ২৫ মেগাজুল শক্তি লাগে।
গরুটির জন্য প্রতিদিন দানাদার খাবার লাগে (২৫/১০) = ২.৫ কেজি।
গরুর ওজন যত কেজি তত গ্রাম প্রোটিন লাগে।
যেহেতু গরুর ওজন ২৫০ কেজি সেহেতু গরুটির জন্য প্রতিদিন ২৫০ গ্রাম প্রোটিন লাগে।
২.৫ কেজি দানাদার খাবার থেকে আমরা পাই (২.৫*২০০)= ৫০০ গ্রাম প্রোটিন। অথচ গাভীটির জন্য প্রয়োজন ২৫০ গ্রাম প্রোটিন। অতিরিক্ত (৫০০-২৫০)= ২৫০ গ্রাম প্রোটিন গাভীর জন্য ক্ষতি হবে কিনা সেটি এখন আলোচনা করা যাক।
এবার আলোচনা করা যাক ২৫০ কেজি ওজনের গরুটিকে শুধু ঘাস দিয়ে লালন পালন করলে কত খরচ হবে আর শুধু দানাদার দিয়ে লালন পালন করলে কত খরচ হবে।
২৫০ কেজি ওজনের গরুটিকে শুধু ঘাস দিয়ে লালন পালন করলে প্রতিদিন ঘাস লাগে ১২.৫ কেজি যার উৎপাদন খরচ (১২.৫*২) = ২৫ টাকা।
২৫০ কেজি ওজনের গরুটিকে শুধু দানাদার দিয়ে লালন পালন করলে প্রতিদিন দানাদার খাবার লাগে ২.৫ কেজি যার বাজার মূল্য (২.৫*৪০) = ১০০ টাকা।
১ দিনে সাশ্রয় হয় (১০০-২৫)= ৭৫ টাকা।
৩০ দিনে সাশ্রয় হয় (৭৫*৩০)= ২,২৫০ টাকা।
জার্মান ঘাসের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন।
0 Comments