Header Ads Widget

Responsive Advertisement

How to write a SEO friendly article.

 

How to write SEO friendly article

সাধারণ Article আর SEO friendly Article এর মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। ব্লগারগন অনলাইনে আর্টিকেল লেখেন গুগল র‍্যাংকে নিয়ে  আসার জন্য। তাই একটি SEO friendly Article কতগুলো মানদন্ড অনুসরণ করে লেখা হয়। সেই মানদণ্ড বা শর্তগুলোর উপর ভর করে আর্টিকেল গুগল র‍্যাংকে আসে।

ভালো মানের আর্টিকেল লেখার অন্যতম শর্ত হচ্ছে বেশি বেশি আর্টিকেল পড়তে হবে।বিভিন্ন লেখকের পোস্ট পড়লে জানতে পারবেন তারা কিভাবে ভূমিকা লেখেন,কিভাবে উপসংহার লেখেন,  তাদের key word কি, কিভাবে আর্টিকেল উপস্থাপন করেছেন,কি শব্দ চয়ন করেছেন,বিভিন্ন heading ব্যবহার ইত্যাদি।

What is SEO friendly Article? 

ভালো আর্টিকেল লিখতে হলে প্রথম অবস্থায় আপনাকে অবশ্যই ভালো মানের আর্টিকেল পড়ে পড়ে শিখতে হবে।এক্ষেত্রে আমার পরামর্শ আপনি যে বিষয়  সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন এবং ভালো বুঝেন সে বিষয় নিয়ে পড়ুন আর চর্চা করুন। পড়ার পাশাপাশি একটু একটু করে লেখার অভ্যাস করতে হবে।আপনার লেখাকে আরো কিভাবে সুন্দর ও অর্থবহ করা যায় সেটা নিয়ে ভাবতে হবে। যত বেশি ভাববেন তত বেশি সমৃদ্ধ হবে আপনার জ্ঞানের ভান্ডার।ভালো মানের একটা প্যারাগ্রাফকে সিম্পল, কমপ্লেক্স, কম্পাউন্ড, এক্টিভ,প্যাসিভ থিউরি এপ্লাই করে অর্থ পরিবর্তন না করে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে লেখুন যতভাবে লেখা যায়।প্রথম প্রথম আপনার মাথায় কিছু নাও আসতে পারে।তবে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এভাবে একমাস চর্চা করলে আপনি একটা মোটামুটি পর্যায়ে চলে যাবেন।তারপর যত বেশি লেখালেখি করবেন আপনার লেখার স্টাইল ততবেশি উন্নত হবে।বলা বাহুল্য আমি কিন্তু ভালো লেখক নই। আমি এখন ট্রায়াল এন্ড এরর (ভুল করছি আর শিখছি)পর্যায়ে আছি।



 আপনি হয়তো  ভালো লেখক নন তাই বলে হাল ছেড়ে দেওয়া যাবেনা। মনে রাখবেন কেউ ভালো রাইটার হয়ে জন্ম গ্রহন করেনা।ভালো লেখক বা রাইটার বলতে কাজী নজরুল ইসলাম, জসীমউদ্দিন, হুমায়ন আহমেদের মানের কবি সাহিত্যিকদের   বুঝানো হয়নি।অনলাইনে যারা লেখালেখি করে তাদেরকে বুঝানো হয়েছে।আপনার টার্গেট হচ্ছে গুগল সার্চে দশের মধ্যে থাকা।আপনি শীর্ষ দশের লেখা ও লেখককে ফলো করুন। আপনাকে লেগে থাকতে হবে। বার বার চেষ্টা করলে সফলতা আপনাকে ধরা দিবেই। তবে শর্টকাট পদ্ধতিতে অন্যের লেখা কপি করে 

পোস্ট করবেন না। আপনি লেখা কপি করলে গুগল সেটা বুঝতে পারে।পরবর্তীতে আপনি যখন গুগল এডসেন্সের(যার মাধ্যমে ইনকাম করা যায় আনলিমিটেড) জন্য এপ্লাই করবেন গুগল আপনাকে এলাউ করবেনা। আপনি এই টুলসে গিয়ে আপনার লেখা কত পার্সেন্ট কপি করা আপনি নিজেই জানতে পারবেন।আবার আপনি অনেক কষ্ট করে একটি ইউনিক আর্টিকেল লিখলেন কিন্তু টুলসে দেখাচ্ছে ৩০% কপি করা।যে বাক্যগুলো কপি করা সেগুলো রেড দেখাবে। তবে বলে রাখা ভালো এই রকম হবার সম্ভাবনা খুবই কম।ইউনিক আর্টিকেল লেখার পরেও টুলস দেখাচ্ছে কপি করা। তখন আপনি কি করবেন?এক্ষেত্রে আমার পরামর্শ  বাক্যগুলো যদি সরল বাক্যে থাকে আপনি যৌগিক বাক্যে লেখার চেষ্টা করুন। যদি সম্ভব না হয় তাহলে আপনি সমার্থক শব্দ দিয়ে রিপ্লেস করুন। যেমন, দৈনন্দিন জীবনে গৃহিণীদের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি জিনিসের নাম ব্লেন্ডার মেশিন। আপনি দৈনন্দিন শব্দের পরিবর্তে প্রাত্যহিক,  প্রয়োজনীয় শব্দটির পরিবর্তে আবশ্যকীয় এবং জিনিসের পরিবর্তে কিচেন টুলস ব্যবহার করুন। তাহলে নতুন বাক্যটি দাঁড়ায়, প্রাত্যহিক জীবনে গৃহিণীদের জন্য অতি আবশ্যকীয়  একটি কিচেন টুলসের নাম ব্লেন্ডার মেশিন।এখন এই বাক্যটি আর কপি করা দেখাবেনা।



আপনি যে বিষয় সম্পর্কে লিখতে চান সেটি আপনার Key word.উক্ত Key word সম্পর্কে আরো জানতে Key word  দিয়ে গুগলে সার্চ করতে হবে। key word সম্পর্কিত প্রচুর আর্টিকেল বা পোস্ট পড়তে হবে। 

google rank এ যে পোস্টগুলো আসে সেগুলো সম্পর্কে রিসার্চ করতে হবে।রিসার্চ করার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বা টার্ম মাথায় রাখতে হবে।

পোস্টের টাইটেল কি,

টাইটেলের মধ্যে key word রয়েছে কিনা

Introduction বা ভূমিকার মধ্যে key word রয়েছে কিনা

Table of Content এর ব্যবহার

কতটি heading রয়েছে

Sub heading

পোস্টটি কত শব্দের, 

পোস্টে কি কি তথ্য আছে, 

Key word Bold/ italic

Key word density

Active voice 

Easy to understand 

Small sentence 

Bullet point

Rellavent image

Relevent link 

Domain name 

বলে রাখা ভালো আপনাকে ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল লিখতে হবে। তাই Title, Key word, heading প্রভৃতি টার্মগুলো মাথায় রেখে লিখতে হবে। এই টার্মগুলোর উপর কিছুটা নির্ভর করে আপনার পোস্ট গুগল র‍্যাংকে আসবে কিনা। তাই এসব নিয়ে বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে। তবে আপনি যদি কোন একটি টার্ম প্রয়োগ করতে ভুলে যান বা আপনি টার্মে কোন ভুল করে থাকেন Yoast Seo নামে একটি টুলস আছে যা আপনাকে রেড সিগনাল দিয়ে মনে করিয়ে দিবে।আসুন আমরা এক এক করে প্রত্যেকটি টার্ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করি।


পোস্টের Title

পোস্টের Title হতে হবে ৬৫ character এর মধ্যে। character বলতে letter( a,b,c,d...), symbol(&,%,#,@...), space(২ টি শব্দের মাঝে গ্যাপ) ও digit(1,2,3....)  কে বুঝায়। পোস্টের টাইটেল দেখে ভিজিটর বুঝতে পারে পোস্টটি কি সম্পর্কে।তাই টাইটেল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার পোস্টের টাইটেল হতে হবে প্রাসংগিক ও আকর্ষণীয়। টাইটেলের মধ্যে key word রয়েছে কিনা সেটা লক্ষ্য করবেন।টাইটেলের মধ্যে key word থাকা আবশ্যক। লেখক টাইটেল তার নিজের মত করে লিখেছেন। আপনি যদি আর্টিকেলটির টাইটেল লিখতেন আপনি কিভাবে লিখতেন সেটা ভাবুন অর্থাৎ আপনি যে আর্টিকেলটি পড়ছেন তার টাইটিলটিকে আরো সুন্দর ভাবে লেখার চেষ্টা করুন। হয়তো আপনি এর চেয়ে সুন্দর কোন টাইটেল লিখতে পারবেন বা পারবেন না। কিন্তু এই চর্চা করা আপনাকে পরবর্তীতে ভালো মানের টাইটেল লিখতে অনেক হেল্প করবে। 


প্রত্যেকটি  আর্টিকেলের মধ্যে Introduction বা ভূমিকা থাকে।আপনার কম্পিটিটরদের(যাদের সাথে আপনার প্রতিযোগিতা)  আর্টিকেলের ভূমিকা অংশের প্রথম লাইনে key word আছে কিনা নিশ্চিত করুন।আর্টিকেল প্রানবন্ত, সহজ ও প্রাঞ্জল করার জন্য key word প্রথম লাইনে নাও থাকতে পারে।

যদি introduction অংশে key word খুঁজে না পান তাহলে আপনি আর্টিকেলটির Introduction কিভাবে লিখতেন সেটা চর্চা করুন। মনে রাখবেন Practice makes a man perfect যার অর্থ আঞ্চলিক ভাষায়, বাইটতে বাইটতে ভত্তা,বইলতে বইলতে বক্তা।


Table of Content এর ব্যবহার

আপনি যে পোস্টটি পড়ছেন সে পোস্টে Table of Content এর ব্যবহার লক্ষ্য করুন। Table of Content হচ্ছে সম্পূর্ণ পোস্টের মধ্যে কি কি আলোচনা করা হবে তার একটি সূচি।Table of Content কে clickable(ক্লিক করলে অন্য পেইজে নিয়ে যায়) করে দেওয়া ভালো। 


কতটি heading ও Sub heading

Heading মূলত ৬ টি যথাক্রমে h1,h2,h3,h4,h5,h6। আপনি যখন h1 heading ব্যবহার করবেন তখন ফন্ট সাইজ অপেক্ষাকৃত বড় হবে।যখন আপনি   h2 heading ব্যবহার করবেন ফন্ট সাইজ h1 থেকে অপেক্ষাকৃত ছোট হবে। এভাবে  h6 heading এর ফন্ট সাইজ সবচেয়ে ছোট হবে।তবে আপনি যেই heading ব্যবহার করেন না কেন আর্টিকেলের ফন্ট সাইজ সব একই থাকবে।

আমার এই পোস্টের Heading/ Title হচ্ছে "ভালো মানের আর্টিকেল লেখার উপায়।" আর Sub heading গুলো হচ্ছে... 

পোস্ট পড়ার সময় heading ও Sub heading এর ব্যবহার নিখুঁতভাবে বিশ্লেষণ করতে হবে।


Key word density

আর্টিকেলটি কত শব্দের সেটি আপনাকে জানতে হবে।তবে আপনি আর্টিকেলটির শব্দ গুনতে যাবেন না। আর্টিকেলের শব্দ কাউন্ট করার জন্য বিভিন্ন টুলস রয়েছে। আপনি এসব টুলস ব্যবহার করে সহজে ও অল্প সময়ে আর্টিকেলে কত শব্দ আছে তা জানতে পারবেন। 

আর্টিকেলের শব্দ কাউন্ট করার টুলসের লিংক

সাধারনত একটি আর্টিকেলের শব্দ সংখ্যা ২,০০০ হলে শব্দ সংখ্যা বিবেচনায় আর্টিকেলটিকে আদর্শ আর্টিকেল বলা হয়। আর্টিকেলের বিষয়ের উপর ভিত্তি করে শব্দসংখ্যা কম বেশি হতে পারে। শব্দ সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য একই কথা বারবার এবং অপ্রাসঙ্গিক শব্দ,বাক্য ব্যবহার করা যাবেনা।

আপনার আর্টিকেলে প্রতি ১,০০০ শব্দের জন্য একবার  key word ব্যবহার করুন।


পোস্টে কি কি তথ্য আছে, 

পোস্টের টাইটেলের সাথে পোস্টের মিল রয়েছে কিনা সেটা খেয়াল করুন।পোস্টটি তথ্যবহুল কিনা অর্থাৎ পাঠক বা ভিজিটরের চাহিদা মিটছে কিনা যাছাই করুন। ভিজিটরের কাছে আর্টিকেলটি গ্রহনযোগ্যতা,  বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে নির্ভূল তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে কিনা বিশ্লেষণ করুন।


Relevant image 

মনে করুন পোস্ট মোবাইল সম্পর্কে কিন্তু ছবি ব্যবহার করা হয়েছে ল্যাপটপের তাহলে ব্যাপারটা কেমন দেখায়? অথবা পোস্ট নকিয়া মোবাইল সম্পর্কে কিন্তু ইমেজ আপলোড করা হয়েছে আইফোনের সেক্ষেত্রে Relevant image ব্যবহার করা হয়নি।Relevant image ব্যবহারের বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।


Relevant link

Relevant image এর মত Relevant link এর ব্যবহার লক্ষ্য করবেন। মনে করুন আপনি একটি  পোস্ট পড়তেছেন যার টাইটেল Best coffee maker in Bangladesh. পোস্টের শেষে বলা হয়েছে  আপনি যদি আরো কফি মেকার সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এখানে ক্লিক করুন। আপনি ক্লিক করার পর আপনাকে অন্য একটি পেইজে নিয়ে যাওয়া হল। সেই পেইজের বিষয়বস্তু কফি মেকার সম্পর্কে।তাহলে আমরা বলতে পারি এখানে যে লিংক ব্যবহার করা হয়েছে সেটি  Relevant link। আর যদি ক্লিক করার পর আপনাকে এমন একটি পেইজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে যেখানে আলোচনা করা হয়েছে কিভাবে হোম মেইড কেক তৈরী করতে হয়। তাহলে এই লিংকটিকে Relevant link বলা যাবেনা।


What is Check readability score? 

একটি বিষয়কে আপনি যত সহজ ভাষায় উপস্থাপন করতে পারবেন আপনার আর্টিকেলের readability score তত বেশি হবে। তবে ৫০% এর উপরে থাকা ভালো। আর্টিকেলের readability score টুলসের সাহায্যে নির্ণয় করা যায়।


Post a Comment

0 Comments