Header Ads Widget

Responsive Advertisement

আগাম টমেটো চাষে ৩ গুন লাভ।

আগাম টমেটো চাষ


আগাম টমেটোর জাত নির্বাচন, বীজ বপন,চারা রোপণ, রোগ-ব্যাধি, জৈব বালাইনাশক,সেচ প্রয়োগ, শেড নির্মাণ, বাজারজাতকরণ,মোট খরচ ও লাভের হিসাব বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে কমপ্লিট গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে।

আগাম টমেটো চাষ লাভজনক কেন?

টমেটো সারা পৃথিবীতে একটি জনপ্রিয়  সবজি। এটি কাঁচা, পাকা এবং রান্না করে খাওয়া যায়। এছাড়া টমেটো সস, কেচাপ, চাটনি হিসেবেও বেশ জনপ্রিয়।এটি মূলত শীতকালীন সবজি হলেও অধিক লাভের জন্য এখন আমাদের দেশে শীতকাল ছাড়াও টমেটো চাষ হয়। অফ সিজনে টমেটো চাষ করলে অধিক লাভবান হওয়া যায়। তবে এজন্য প্রয়োজন সঠিক জ্ঞানার্জন। এই লেখাতে মূলত আগাম চাষ ও অফ সিজনে টমেটো চাষ পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হবে।


আগাম জাতের টমেটো চাষ পদ্ধতি 

আগাম জাতের টমেটো চাষ করতে হলে, জাত নির্বাচন, বীজ শোধন থেকে শুরু করে বীজ বপন, বীজতলা প্রস্তুত, শেড প্রদান ইত্যাদি ক্রাইটেরিয়া খুব ভালোভাবে মেইনটেইন করতে হয়।


জাত নির্বাচনঃ 

আগাম জাতের টমেটো চাষের জন্য জাত নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাজারে অনেক কোম্পানির আগাম জাতের টমেটোর বীজ পাবেন। তবে বাহুবলী ও সফল এই ২ টি আগাম জাতের টমেটো মাঠ পর্যায়ে ভালো ফলন লক্ষ করা যায়। কৃষকদের মাঝে এই ২ টি জাতের চারা রোপন করার প্রবণতা বেশি।


বাহুবলী জাতের টমেটোর বৈশিষ্ট্যঃ

জাপানের একটি জাত।

৮-১০ টিতে কেজি হয়।

ভিতরে পানির পরিমান কম।

উচ্চ ফলনশীল।

গাছ প্রতি ৬-৭ কেজি টমেটো ধরে।

পরিবহনে টমেটোর কালার,শেফ নষ্ট হয়না।


বীজ শোধন

বাজার থেকে উন্নত জাতের বীজ কিনে প্রথমে শোধন করে নিতে হবে। বীজের মধ্যে বিভিন্ন রোগ-জীবাণু লুকিয়ে থাকে। যেমন, আগাম ধ্বসা বা আর্লি ব্লাইট রোগ, মোজেইক ভাইরাস, ছত্রাকজনিত ঢলে পড়া ইত্যাদি রোগের জীবাণু বীজে থাকতে পারে। মাটিতে ফেলার পর পানি পেয়ে সেসব রোগ-জীবাণু সক্রিয় হয়ে ওঠে। ফলে চারা মারা যায়। 

বীজ শোধন করা যেতে পারে কয়েক পদ্ধতিতে।

প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে বীজ শোধনঃ

কিছু গাছ-গাছড়ার রস দিয়ে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে বীজ শোধন করা যায়। রসুনের রস দিয়ে এ কাজ করা যেতে পারে।


ছত্রাকনাশক দিয়ে বীজ শোধনঃ

ছত্রাকনাশক দিয়েও বীজশোধন করা যায়। 


বীজতলা প্রস্তুত ও মাটি শোধনঃ

বীজতলার মাটি ভালোভাবে কুপিয়ে জৈবসার মিশিয়ে জুরজুরা করে নিতে হবে। বীজতলার মাটিতেও কিছু রোগ-জীবাণু থাকতে পারে। যেমন, চারা ধ্বসা বা ড্যাম্পিং অফ রোগের জীবাণু। এসব রোগ-জীবাণুও চারাকে আক্রমণ করতে পারে। সেজন্য বীজতলার মাটিও শোধন করে নিলে ভালো হয়।


বীজতলার মাটি শোধন 


পলিথিন দিয়ে দুসপ্তাহ ভালো করে ঢেকে রেখে দিলে সূর্যের তাপে মাটিতে থাকা অনেক জীবাণু মরে যায় ও বীজতলার মাটি শোধন হয়ে যায়। সময় না থাকলে বীজতলার মাটির উপরে ৩ ইঞ্চি পুরু করে কাঠের গুঁড়া বিছিয়ে আগুন দিলে সেই তাপেও রোগ জীবাণু নষ্ট হয়।


বীজ বপনের সময়ঃ জুন মাসে বীজ বপন করবেন। তাহলে জুলাই মাসের প্রথম দিকে চারা মূল জমিতে রোপন করতে পারবেন। বীজগুলো ছিটিয়ে বীজতলায় বপন করা যায়। ছিটিয়ে বপনের জন্য সাধারণত প্রতি বর্গমিটার বীজতলার জন্য ১০০-১৫০ গ্রাম বীজ লাগে।


চারার যত্নঃ বীজ বপনের ৪-৭ দিনের মাথায় বীজ গজিয়ে চারা উঠবে। এই সময় বাংলাদেশে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় তাই ভালোভাবে শেড দিবেন যেন বৃষ্টি চারার ক্ষতি করতে না পারে। মাটি দেখে হালকা পানি ছিটিয়ে দিবেন।


তবে বীজতলায় রোপণকৃত চারার কিছু প্রবলেম থাকে।

১. চারা বড় হতে ২৫-৩০ দিন লাগে।

২. বীজতলা থেকে চারা উঠানোর সময় শিকড় ছিড়ে যায়।রোপনের পরে এই শিকড় রিকভার করতে ৫-৭ দিন লেগে যায়। ফলে হারভেস্ট করতে ৭ দিন বেশি লাগে।

৩. বীজতলায় বাড়তি যত্ন নিতে হয়।শেড দিতে হয়।

৪. চারার মৃত্যুহার বেশি।

এই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য কিছু কিছু বাণিজ্যিক নার্সারি রয়েছে  যেমন নাশিক, ম্যাক্সিম এগ্রো ইত্যাদি। এই নার্সারিগুলো  রেডিমেড চারা তৈরি করে আপনার টেনশন ও পরিশ্রম কমিয়ে দেয়। এই ধরনের নার্সারি থেকে চারা কিনলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা পাওয়া যায়। যেমন

১. তারা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ছত্রাকনাশক দিয়ে বীজ শোধন করে কোকোপিটের সাহায্যে সম্পূর্ণ মাটি বিহীন চারা উৎপাদন করে। যেহেতু চারার সাথে মাটির কোন সংস্পর্শ থাকেনা সেহেতু চারা থাকে রোগ জীবাণু মুক্ত।

২. শিকড় ছিঁড়ে যায়না। ফলে মূল জমিতে রোপনের সাথে সাথে জমির মাটির সাথে এডজাস্ট হয়ে যায় এবং ৭ দিন আগে ফলন পাওয়া যায়।

৩. চারাগুলো এমন ভাবে প্রস্তুত করা হয় মূল জমিতে রোপনের পর রোদের তাপ থেকে বাঁচার জন্য ছায়ার ব্যবস্থা করতে হয়না।

৪. চারার মৃতুহার কম এবং সকল গাছে এক সাথে ফলন আসে।

৫. আপনার জমি প্রস্তুত থাকলে যেকোন সময় চারা কিনে রোপণ করতে পারবেন।

বারোমাসি সুমিষ্ট লাভজনক কাটিমন আম চাষ পদ্ধতি জানতে এইখানে ক্লিক করুন। 

শেড নির্মাণঃ 

জমি প্রস্তুতের পর চারা রোপনের আগে শেড বা চাউনি দিবেন। শেড না দিলে বৃষ্টিতে আপনার চারার গ্রোথ বা বৃদ্ধি থেমে যাবে এবং মাটি শক্ত হয়ে যাবে।যেহেতু আপনি বর্ষাকালে টমেটো চারা রোপন করবেন সেহেতু চারাগুলো বাঁচানো আপনার জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ। আপনাকে মজবুত করে উন্নতমানের পলিথিন দিয়ে শেড নির্মাণ করতে হবে।শেড নির্মানে খরচ হলেও আপনি লাভবান হবেন। শেড বা ছাউনি দিয়ে টমেটো চাষের অভিজ্ঞতা না থাকলে যে অঞ্চলে শেড দিয়ে টমেটো চাষ করে সেখানে ঘুরে আসুন এবং শিখে আসুন কিভাবে শেড দেওয়া হয়েছে। খরচ কেমন হয়েছে সেটা জানতে ভুলবেন না।


জমি প্রস্তুতঃ

জমিকে ট্রাক্টর দিয়ে ৩-৪বার চাষ করে রোদে ২-৩ দিন রেখে দিতে হবে। তারপর শেষ চাষ দেওয়ার আগে জমিতে টিএসসি সার ও জৈব সার ছিটিয়ে উত্তমরূপে চাষ করে মাটি জুরজুরা করে নিতে হবে।চাষের পর মাটি মই দিয়ে সমান করে ১ মিটার বা ৩.৫ ফুট চওড়া করে বেড বানাতে হবে।সেচ দেওয়ার সুবিধার্থে ২টি বেডের মাঝে ৩০ সেন্টিমিটার নালা রাখতে হয়। প্রতিটি বেডে ২ সারি করে ৬০x৪০ সেন্টিমিটার দূরত্বে ২৫-৩০ দিন বয়সের চারা রোপণ করতে হয়।


জমি প্রস্তুতের সময় সারের পরিমানঃ

ইউরিয়াঃ শতকে ২-২.৪ কেজি।

টিএসপিঃ শতকে ৮০০ গ্রাম - ১ কেজি।

এমওপিঃ শতকে ৪০০ গ্রাম।

গোবরঃ শতকে ১৫-২০ কেজি। 


২য় কিস্তিতে  সারের পরিমানঃ

চারা লাগানোর ১০ দিন পর আগাছা পরিষ্কার করে ইউরিয়া শতকে ৫০০ গ্রাম সার প্রয়োগ করে সেচ দিবেন। সেচের ২-৩ দিন পরে মাটি একটু শুকালে মাটির উপরিভাগের চটা ভেঙ্গে দিতে হবে। যাতে মাটিতে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল করতে পারে।


৩য় কিস্তিতে  সারের পরিমানঃ

চারা লাগানোর ২৫ দিন পর আগাছা পরিষ্কার করে ইউরিয়া শতকে ৫০০ গ্রাম এবং এমওপি বা পটাশ  সার শতকে ৩০০ গ্রাম প্রয়োগ করে সেচ দিবেন।সেচের ২-৩ দিন পরে মাটি একটু শুকালে মাটির উপরিভাগের চটা ভেঙ্গে দিতে হবে। যাতে মাটিতে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল করতে পারে।



৪র্থ কিস্তিতে  সারের পরিমানঃ

চারা লাগানোর ৪০ দিন পর আগাছা পরিষ্কার করে ইউরিয়া শতকে ৪০০ গ্রাম এবং এমওপি বা পটাশ  সার শতকে ২৫০ গ্রাম প্রয়োগ করে সেচ দিবেন।সেচের ২-৩ দিন পরে মাটি একটু শুকালে মাটির উপরিভাগের চটা ভেঙ্গে দিতে হবে। যাতে মাটিতে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল করতে পারে।



চারা রোপনের সময়ঃ

চারার বয়স ৩০-৩৫ দিন অথবা ৪-৬ পাতা বিশিষ্ট হলে জমিতে রোপন করতে হবে।


এক মিটার বেডে দুই সারি করে চারা লাগাতে হবে। এক্ষেত্রে সারি থেকে সারির দূরত্ব ৬০ সে.মি. এবং সারিতে চারা থেকে চারা ৪০ সে.মি. দূরত্বে লাগাতে হবে।


বীজতলা থেকে চারা অত্যন্ত যত্ন সহকারে তুলতে হবে যেন চারার শিকড় ক্ষতিগ্রস্থ না হয়। এ জন্য চারা তোলার আগে বীজতলার মাটি ভিজিয়ে নিতে হবে।


বিকেলের পড়ন্ত রোদে চারা রোপণ করাই উত্তম এবং লাগানোর পর গোড়ায় হালকা সেচ প্রদান করতে হবে।



বিকেলে চারা রোপন করবেন। চারা রোপন করার পর চারার গোড়ায় হালকা পানি দিবেন।রোদের হাত থেকে রক্ষা করতে চারাকে ছায়া দিতে পারেন।তবে কোকোপিটের চারাতে ছায়া দিতে হয়না।আগাম জাতসমূহের বীজ বপন করা হয় জুলাই থেকে আগস্ট মাসে।জুলাই মাসে বপন করলে সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে বিক্রয় করতে পারবেন এবং এই সময় ভালো দাম পাবেন।


সেচ ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থাঃ

চারা রোপণের ৩-৪ দিন পর পর্যন্ত হালকা সেচ ও পরবর্তীতে প্রতি কিস্তি সার প্রয়োগের পর জমিতে সেচ দিতে হয়। যেহেতু আপনি বর্ষাকালে টমেটো চারা রোপন করবেন তাই জমিতে যেন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।কারণ  টমেটো গাছ জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারেনা। সেচ অথবা বৃষ্টির অতিরিক্ত পানি দ্রুত নিষ্কাশনের জন্য নালা পরিমিত চওড়া (৩০-৪০ সে.মি.) এবং এক দিকে সামান্য ঢালু হওয়া বাঞ্ছনীয়।


ফ্লোরা স্প্রেঃ

ফ্লোরা’ নাইট্রোবেনজিন ২০% সমৃদ্ধ একটি ফলন বর্ধক পণ্য যা সকল ফসলে ব্যবহার করে ২০-২৫% পর্যন্ত ফলন বৃদ্ধি পায়। বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর প্রায় ২০ টি দেশে ইহা ব্যপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বাংলাদেশে এ সি আই ক্রপ কেয়ার কোম্পানি এটি বাজারজাতকরণ করেছে।

প্রতি লিটার পানিতে ২ মিঃলিঃ মিশিয়ে বিকেলে গাছের পাতা ভিজিয়ে স্প্রে করবেন।


ছত্রাকনাশক স্প্রেঃ

বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির ছত্রাকনাশক রয়েছে। প্রতি লিটার পানিতে ২ মিঃলিঃ মিশিয়ে বিকেলে গাছের পাতা ভিজিয়ে স্প্রে করবেন।


টমেটো প্রুনিং কি?

সাধারণত একটি থোকায় ৫-৮ টি টমেটো ধরে। টমেটো যখন ছোট মার্বেল সাইজ অবস্থায় থাকে তখন ৩-৪ টি রেখে বাকি টমেটো ছাঁটাই করে দিবেন। এতে থোকার মধ্যে সব টমেটো একই সাইজ হবে এবং সাইজ বড় হবে। বড় সাইজের টমেটোর দাম বেশি থাকে।


নিচে ক্যালেন্ডার অনুযায়ী টমেটো গাছের যত্ন-আত্নি সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হলো। সবকিছু এভাবে করতে হবে এমনটা কিন্তু নয়। গাছের অবস্থা ও আবহাওয়া বিবেচনা করে ১-২ দিন এদিক-ওদিক হতে পারে।



১ম দিনঃ বিকেলে চারা রোপন ও চারার গোড়ায় পানি দেওয়া।


২য় দিনঃ খুব সকালে ও বিকালে চারার গোড়ায় পানি দেওয়া।


৩য় দিনঃ খুব সকালে ও বিকালে চারার গোড়ায় পানি দেওয়া।


৪র্থ দিনঃ খুব সকালে ও বিকালে চারার গোড়ায় পানি দেওয়া।


৯ম দিনঃ চারার সাথে খুঁটি খড় বা পাটের সুতা দিয়ে বেঁধে দিবেন।

১০ম দিনঃ আগাছা পরিষ্কার করে ইউরিয়া শতকে ৫০০ গ্রাম সার প্রয়োগ করে সেচ দিবেন।


১৫ তম দিনঃ চারার নিচের অংশের মরা বা হলুদ পাতা কেটে দিবেন।

১৬ তম দিনঃ ইংরেজি বর্ণ A এর মত করে ৪-৫ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট খুঁটি দিয়ে ও সমান্তরালভাবে বাঁশ দিয়ে মাচা তৈরি করে দিবেন।


১৯ তম দিনঃ সাকার ও মরা বা হলুদ পাতা কেটে দিবেন।

২০ তম দিনঃ ছত্রাকনাশক স্প্রে করবেন। 


২২ তম দিনঃ ফ্লোরা স্প্রে করবেন।


২৫ তম দিনঃ আগাছা পরিষ্কার করে ইউরিয়া শতকে ৫০০ গ্রাম এবং এমওপি বা পটাশ  সার শতকে ৩০০ গ্রাম প্রয়োগ করে সেচ দিবেন।


২৯ তম দিনঃ সাকার ও মরা বা হলুদ পাতা কেটে দিবেন।

৩০ তম দিনঃ ছত্রাকনাশক স্প্রে করবেন।  

৩৩ তম দিনঃ ফ্লোরা স্প্রে করবেন। 


৪০ তম দিনঃ আগাছা পরিষ্কার করে ইউরিয়া শতকে ৪০০ গ্রাম এবং এমওপি বা পটাশ  সার শতকে ২৫০ গ্রাম প্রয়োগ করে সেচ দিবেন।


৪৬ তম দিনঃ মরা বা হলুদ পাতা কেটে দিবেন।

৪৭ তম দিনঃ ছত্রাক নাশক স্প্রে করবেন।  

৫০ তম দিনঃ ফ্লোরা স্প্রে করবেন। 

৫৮ তম দিনঃ টিএসপি ও ইউরিয়া সার প্রয়োগ করবেন।

৫৯ তম দিনঃ মরা বা হলুদ পাতা কেটে দিবেন।

৬০ তম দিনঃ ছত্রাক নাশক স্প্রে করবেন। 

৬৫ তম দিনঃ ফ্লোরা স্প্রে করবেন। 

৭৪ তম দিনঃ মরা বা হলুদ পাতা কেটে দিবেন।

৭৫ তম দিনঃ ছত্রাক নাশক স্প্রে করবেন।

৮৯ তম দিনঃ মরা বা হলুদ পাতা কেটে দিবেন।

৯০ তম দিনঃ ছত্রাক নাশক স্প্রে করবেন।


গাছের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে নিচের কাজগুলো করতে হবে।

১. ১৫ দিন পরপর মরা বা হলুদ পাতা কেটে দিবেন। 

২. ১৫ দিন পরপর ছত্রাকনাশক স্প্রে করবেন। 

৩. প্রয়োজনীয় সার প্রয়োগ করবেন। 

৪. ছোট অবস্থা টমেটো প্রুনিং করবেন। 



জাত ও লাগানোর সময়ের উপর নির্ভর করে আনুমানিক ৩ মাসের মধ্যেই ফসল তোলার সময় হয়। টমেটো পাকা ও কাঁচা উভয়ই অবস্থায়ই তোলা যায়। তবে দূরে পাঠানোর জন্য একেবারে পাকা টমেটো তোলা উচিত নয়।


 

Post a Comment

0 Comments